আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি যদি আরও কঠোর করা না হয়, জানুয়ারি মাসে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিইয়েনটের সংক্রমণ ব্যপকভাবে বেড়ে যাবে। আর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ওপর নির্ভর করবে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা। এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ ওমিক্রনে মৃত্যু ২৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার হতে পারে। ওমিক্রনকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন একটি মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মডেলের ভিত্তিতেই তাঁরা এই সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি যদি বেশী খারাপ হয়ে যায়, তাহলে অন্তত হাসপাতালের ওপর চাপ কমানর জন্য হলেও সবচেয়ে কঠিন স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করতে হতে পারে। আর সবচেয়ে কঠিন স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে রয়েছে লকডাউন।
এদিকে করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি। সাথে চলছে বুস্টার জ্যাব কর্মসূচি। নতুন বিশ্লেষণে জানা গেছে, দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করা থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা হয়, তাহলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাল্কা অসুস্থ হলে, ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডোজ থাকলে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে ঠিক কতোটা সুরক্ষিত থাকা যাবে, তা এখনও অস্পষ্ট।
এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশী ওমিক্রন আক্রান্ত মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে লন্ডনে। পাশাপাশি ব্রিটেনের অধিকাংশ স্থানে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমণের গতি মন্থর করার লক্ষ্যে মাস্কের ব্যবহার বৃদ্ধি, টেস্টিং বাড়ানো এবং বাড়ি থেকে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
শনিবার থেকে স্কটল্যান্ডে আবার আইসলেশনের নিয়ম কার্যকর হয়েছে। পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ১০ দিনের আইসলেশনে যেতে হবে। করোনা নেগেটিভ হলে, ভ্যাকসিনের দুই ডোজ থাকলেও আইসলেশনের এই নিয়ম পালন করতে হবে।
এদিকে ওমিক্রন সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের কেয়ারহোমগুলো ভিজিটের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার থেকে কেয়ারহোমের বাসিন্দাদের কাছে দিনে সর্বোচ্চ তিন জন দেখা করতে পারবেন। পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধু-স্বজনের মধ্য থেকে তিন জন এবং কেয়ারে নিয়োজিত মানুষের মধ্য থেকে এক জনকে মনোনীত করা হবে।
কেয়ারহোমের কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি লেটারেল ফ্লো টেস্ট এবং একবার পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
সূত্র- ওয়ানবাংলা নিউজ